বড়ো মেয়ে বললো, "আমায় কিছু স্টক কিনে দিয়ো বাবা।" "আচ্ছা, তাই হবে না হয়।" বললো বাবা। মেজো মেয়ে বললো, "আমার কিন্তু মেটাল চাই - সিলভার, গোল্ড, প্লাটিনাম - যা হয় কিছু।" "আচ্ছা, তাই না হয় হবে'খণ।" বাবা বললো। ছোট মেয়ে কিছু চায় নি এ অব্দি, "তোমার কি চাই মামনি?" তার দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করেন বাবা। "আমার কিছু চাই না বাবা, তোমার ইনভেস্টমেন্টস যাতে সেফ থাকে, যেভাবে ঠিকঠাক রিটার্ন পাও, ব্যাস তাই দেখো। তা বাদে আমার কিছু চাই না।" "সে বললে কি হয় মামনি? দিদির যেমন যেমন সব হুকুম করলো, তোমারও তো কিছু দাবি দাওয়া করতে হয় - নইলে হবে কেনো?" " না বাবা, আমার সত্যিই কিছু চাই না, তুমি ঠিক থাকলেই আমি খুশি!" "সেতো আমার ভাগ্যি মামনি, তাহলেও নতুন ফাইন্যান্সিয়াল ইয়ার বলে কথা - মন থেকে বলছি, যা চাও - সাধ্যে থাকলে তোমার হয়ে ইনভেস্ট করে দেবো।" "আচ্ছা বাবা, এত করে বলছো যখন - যদি পাও তো আমাকে নাহয় 'আলতা জবা' কিনে দিয়ো।" বাবা একটু চমকে যান, "আলতা জবা?" "হ্যা বাবা, এনএফটি," ছো
“খ্র্যা-আ-আ-” ঘাড় ঘুরিয়েই নিচু স্বরে গর্জন করে উঠলো শিম্পাঞ্জিটা! রনদীপ পেশাদার খুনে, কিন্তু এরকম আচমকা প্রতিক্রিয়ার জন্যে তৈরী ছিল না সে| চমকে গেলেও এক মুহুর্তে নিজেকে সামলে নিলো সে| আর তাছাড়া তাদের অনুসরণকারী জীবটি যে মনুষ্যেতর, সেটা জানতে পেরেও তার স্বস্তি হলো অনেকখানি| শিম্পাঞ্জিটা লম্বায় ফুটচারেক, সাধারনের থেকে উচ্চতা সামান্য একটু বেশিই, সেকারণে ঝোপঝাড়ের আড়ালে তাকে মানুষ বলেই প্রায় ভুল করেছিলো সে| তার জন্যেই হাতের কম্যান্ডো নাইফটা এখনো তাক করা আছে তার দিকেই| শিম্পাঞ্জিটার নজর দ্রুত রনদীপের চোখ আর তার হাতের ছুরির দিকে যাতায়াত করতে করতে কি একটা হিসাব করছিলো| “শ্র্সস-ক্রর-র-র” ওয়াকিটকির ইয়ারফোনটা সরব হয়ে উঠলো, “ক্বয়ান টু রান্ডি, ক্বয়ান টু রান্ডি, ডু ইউ কপি? তোমার লোকেশন বলো, ওভার|” রনদীপ খানিক সময় দলছাড়া, তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে বলেছে যে কিছু একটা তাদের দলটাকে শেষ আধ ঘন্টা ধরে অনুসরণ করছে, কাজেই ঘুরপথে এসে সে আপাতত সেই অনুসরণকারীর সামনাসামনি| কিন্তু তার অনুপস্থিতি তার দল টের পাওয়ার কারণে টিম লিডার ক্বয়ান জিমের সাথে ওয়াকিটকিতে এর মধ্যে তার বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে| শিম্পাঞ্জিটা এক