সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রবিবারের সেই ছেলেটি

গতকাল রাতে মাথায় বদখেয়াল চাপলো| মনে হলো আমার বইপত্তর একটু এদিক-ওদিক করা দরকার, মানে সোজা কথায় সবকিছু একটু গুছিয়ে রাখতে চাইছিলাম| বারোটা নাগাদ দুটো আলমারি থেকে সব বই মাটিতে নামিয়ে রাখতে রাখতেই দেড়টা বেজে গেলো| বারবার ঝুঁকতে আর সোজা হতে হতে কোমর হাহাকার করে উঠলো, বুঝলাম যে বয়স হচ্ছে| বই-পত্তরের সাথে সাথে পুরনো দিনের খাতা, কাগজ, হাবি-জাবি নানারকম বেরুলো| তার সাথে পাওয়া গেলো দুটো হাতে আঁকা গ্রিটিংস কার্ড|

আমার টিনএজ এতো ঘটনাবহুল যে তখনকার স্মৃতি একে অন্যের ঘাড়ে চেপে সবমিলিয়ে ঝাপসা| মনে হয় তখন আমি হায়ার সেকেন্ডারি বা কলেজে পরি – সেসময়ে আমি বসিরহাটের প্রান্তিক ক্লাবে প্রতি রবিবারে করে ছবি আঁকা শেখাতাম| বেশিরভাগই ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে| বড়সড় কেউ আমার কাছে তেমন একটা আসতো না, আর যারা ছোটবেলায় আমার কাছে শিখতো, বড় হলে তারা বড় মাস্টারদের কাছে চলে যেত|

আমার এক স্কুলের বন্ধুর সুত্রে আমার স্কুলে একটি ছেলে ভর্তি হলো| বন্ধুটির চেহারা মনে থাকলেও তার নাম মনে নেই এখন, আর ছেলেটির নাম মনে থাকলেও সেটা এখন বলছি না| যাই হোক ছেলেটি যখন আমার আর্ট স্কুলে ভর্তি হলো, তখন সে সেভেন কি এইটে পরতো| রোগা পটকা চেহারা আর খুব বড় বড় দুটো চোখ|

এটা বলা যাবে না যে ছেলেটি খুব দুর্দান্ত ছবি আঁকতো বা ছাত্র হিসাবেও দুর্ধর্ষ ছিল| তবে তার দুটো ব্যাপার ছিল যেটা আমার অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতরে কম দেখেছি – সেটা হলো নিষ্ঠা আর আগ্রহ| যা কাজ দেওয়া হত খুব যত্নের সাথে করবার চেষ্টা করতো| সমস্ত কাজ করবার পরেও কখনো কখনো নতুন ছবি নেওয়ার জন্যে এতো চাপাচাপি করতো যে আমার নিজেরই বেজায় বিরক্ত লাগতো| বলেছি যে তুখোড় আঁকিয়ে ছেলে – সেরকম কিন্তু ছিল না সে, কিন্তু শেখবার মজা পুরোপুরি এরকম উপভোগ করতে খুব কম মানুষকেই দেখেছি আমি|

ঝড়-বাদলা যাই হোক না কেন তার প্রতি রবিবারে আর্ট-স্কুল আসা কোনো দিন কামাই হয় নি কখনো| ক্লাস সেভেনে পড়তে আমার প্রথম বাহন হলো একটা ‘হিরো রেঞ্জার’ সাইকেল – সেসময়ে সেই সাইকেল আমাদের মফস্বল শহরে খুব আজব জিনিষ ছিল| সাইকেলটি আমার বাইশ-তেইশ বছর অব্দি মানে কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরেও অনেকদিন সঙ্গী ছিল| মনে আছে সেই ছেলেটির একটা সোজা হ্যান্ডেল সাইকেল ছিল, সম্ভবত ‘বি.এস.এ. স্ট্রীটক্যাট’ বা ঐ জাতীয় কিছু হবে| যাই হোক প্রতি রবিবারে আমি প্রান্তিকে ঢোকবার সময়ে তার সেই সাইকেল দেখে নিশ্চিত হবই যে ছেলেটি উপস্থিত| এরকম বাধ্য ছাত্র আমি কোনদিনই ছিলাম না মনে হয়|

আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে ছেলেটি আমার কাছে প্রায় বছর তিনেক টিঁকে গেলো| ছেলেটি বসিরহাট হাই স্কুলে পড়তো| আমাদের সময়ে কর্মশিক্ষা ও শারিরশিক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল এবং সবাই জানতো যে কর্মশিক্ষায় ভালো নম্বর পেতে গেলে আমাদের স্কুলের কর্মশিক্ষার যিনি মাস্টারমশাই ছিলেন তার কাছে আঁকা না শিখলে তা সম্ভব নয়| কিন্তু কিই জানি ছেলেটির আমার কাছে কিরকম ভরসা ছিল যে আমি বলা সত্বেও সে আমার কাছে ছাড়া আর কারুর কাছে শিখতে রাজি ছিল না|

এর মধ্যে আমি প্রান্তিকে আঁকানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম, তার পরেও সে আমাদের বাড়ি এসে আমার কাছে শিখতো| আমি সেসময়ে আঁকা শেখানোর পাশাপাশি সায়েন্সের টিউশানিও পড়াতাম তাই ক্লাস টেনে পড়াকালীন একরকম জোর করেই সে মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি টেস্টপেপার নিয়ে চলে আসতো অঙ্ক করতে| ছেলেটি লেখাপড়ায় নিতান্ত সাধারণ, কিরকম ভাবে তার মনে একটা স্বপ্ন ছিল যে একদিন সে আর্ট কলেজ ভর্তি হবে|

দির্ঘ্যদিনের যাতায়াতে আমার মা-বাবা ছেলেটিকে স্নেহ করতো এবং সেও ভেবে নিয়েছিলো যে আমি তার বন্ধু, তাই আমাদের বাড়ি এসে সে আমার বইয়ের আলমারি যথেচ্ছ হাঁটকাত| আমার কাছে রাশিয়ান ছবি আঁকা শেখবার বই, যার নাম ‘লেটস ড্র এন্ড পেইন্ট বুক’ অনেক গুলি ছিল| খেপে খেপে প্রতিবছর বইমেলা থেকে নিয়মিত সংগ্রহ করতাম আমি| তা বাদে ‘ড্রইং কোর্স’, ‘ওল্ড মাস্টার্স’ ইত্যাদি অনেক ছবি আঁকার বই ছিল আমার| ছেলেটি একসময়ে নিয়ম করে কিছু কিছু বই নিয়ে গিয়ে আবার পরের সপ্তাহেই ফেরত দিয়ে নতুন বই নিয়ে যেত|

আমি শিক্ষক হিসাবে যথেষ্ঠ খারাপ – কাজেই সেটা চাপা দেওয়ার জন্যে সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে যথেষ্ট গাম্ভীর্য্য বজার রাখার চেষ্টা করতাম| কিন্তু ছেলেটি আমার অস্বস্তি সত্ত্বেও একসময়ে আমার কাছ থেকে হৃদয়ঘটিত ব্যাপারেও নানারকম সলাপরামশ নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকলো| অনুমান করেছিলাম সে হয়তো প্রেমে-ফ্রেমে পড়েছে| মনে পড়ে আমিও ওরকম বয়সেই প্রথম হৃদয়ের তাগিদ অনুভব করি, কাজেই ধমক দিতে গিয়েও সদপরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করি তাকে| সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় বলতাম যে ওসব বদখেয়াল ছেড়ে মন দিয়ে লেখা পড়া করতে|

সম্ভবত মাধ্যমিকের টেস্ট-এর আগে বা পরে ছেলেটি একদিন কামাই করলো| বলেছিলাম আমার কাছে সে যতদিন আঁকা শেখা শুরু করেছিলো কোনদিন তাকে কামাই করতে দেখিনি, আবার ওদিকে সামনে মাধ্যমিক - কাজেই এই সময়ে আঁকাআঁকি না করে পড়াশুনোয় জোর দিলে ভালো – সেইমতো তার কামাই নিয়ে ভাবিনি| দুটো খুঁত-খুঁতুনি ছিল – এক, আমার গোটা দুয়েক বই ছিল তার কাছে – দুই, বর্ষার থিম নিয়ে গ্রিটিংস কার্ডে একটা ছবি এঁকে দিয়েছিলাম আমি তাকে, তার যে কপিটা সে করেছিলো, সেটাও পড়ে আছে আমাদের বাড়িতে|

কয়েকদিন পরে আমাদের বাড়িতে সেই বন্ধুটি এলো| কোনরকম ব্যাখ্যা না দিয়ে সে আমাকে বললো যে একটু সেই ছেলেটির বাড়ি যেতে হবে| আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আসলে কি ঘটনা ঘটতে চলেছে – কিন্তু অনুমান করছিলাম যে তারপরে অনাকাঙ্খিত কিছু আমাকে শুনতে হতে পারে, কাজেই কোনো প্রশ্ন না করে তাকে অনুসরণ করলাম আমি| যেটা শুনতে চাইছিলাম না বন্ধুর কাছে রাস্তায় যেতে যেতে সেটাই শুনতে হলো আমায়| পরীক্ষার আতঙ্কে বা পরীক্ষায় ফেল করে বা বাজে রেজাল্ট করে আত্মহত্যার খবর কাগজে পড়েছি – কিন্তু এই ছেলেটির ক্ষেত্রে সেই রকম কিছু ঘটলো কি? বুঝতে পারছিলাম না আমি| আবার হৃদয়ভঙ্গ বা প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েও অনেক আত্মহত্যার কথাও পড়েছি| কি ঘটলো ছেলেটির ক্ষেত্রে? বুঝতে পারছিলাম না কিছুই|

আমি আরও বুঝতে পারছিলাম না আমি কেন যাবো ওদের বাড়ি? এর আগে বারবার বলা সত্বেও সেই ছেলেটিদের বাড়ি আমার কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি| এই অসময়ে সেখানে আমার উপস্থিতির কি প্রয়োজন? নানারকম ভাবতে ভাবতে একসময়ে সেখানে এসে হাজির হলাম| শোকের পরিবেশ তার আগেও দেখেছি, কিন্তু সেখানে মৃত্যু এসেছে স্বাভাবিক নিয়মে – পনেরো-সলো বছরের কিশোরের মৃত্যুতে তার মায়ের বিলাপ শুনবার দুর্ভাগ্য হয়নি কখনো| ছেলেটির বাড়ি ঢোকবার মুখেই আমি আর আমার সেই বন্ধু দুজনে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম|

একরকম জোর করেই আমাকে ভিতরে টেনে নিয়ে গেলো আমার সেই বন্ধু| কাকে যেন বললো ‘সুমিত এসেছে|’ আমি বোকার মতো চাইছিলাম চারিদিকে| আমার দিকে কয়েকজন খুব আশ্চর্য্য হয়ে তাকালো| কে যেন এসে খুব যত্নের সাথে আমার হাতে দুটি বই ধরিয়ে দিলো| মনে নেই সে কে ছিল, ছেলেটির বাবা, দাদা নাকি ভাই – কে হবে জানিনা| আমাকে স্বান্তনা দেওয়ার ভঙ্গিতে সে বললো যে ‘ও তোমার বই দুটোর কথা লিখে রেখে গেছে|’

মনে আছে ফেরবার সময়ে বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম জীবন থেকে সে কিছু না পেলেও এবং তার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী না থাকলেও সেই ছেলেটি কারু কাছে কোনো ঋণ রেখে যেতে চায় নি|

সব বই পত্তর গুছিয়ে তুলতে তুলতে ভোর চারটে বেজে গেলো| দেখছিলাম যে বইগুলো আমি হারিয়ে ফেলেছি বলে ভাবছিলাম, তারা দিব্যি এদিক-ওদিক থেকে একে একে বেরিয়ে এসে আমার সামনে হাজির হয়েছে, আবার যেসব বই মনে করছিলাম যে হয়তো আলমারিতেই আছে – তাদের পাত্তাই পাওয়া গেলো না কোথাও| দেখলাম অনেক বই আছে যাতে আমার নয়, অন্য নাম লেখা| কটা বই বুঝতে পারলাম না যে আমি কোথা থেকে জোগার করেছি|

কার্ড দুটো কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, আমি হয়তো রবিবারের সেই ছেলেটির কাছে এখনো অনেক বেশি ঋণী রয়ে গেছি|

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

উত্তরাধিকার ওয়েব সাহিত্য পুরস্কার

একটু নয়, প্রচুর দেরি করেই – ইয়ে কি বলে আবার একটু ঢাক পেটাপিটি করি| তবে সেদিক থেকে ধরতে গেলে ভবিষ্যতে আমার ডিজে হওয়ার রাস্তাও খুলছে হয়তো পরোক্ষ ভাবে| আসল সাফাই হলো ‘আমার মতো’ যারা কাজ করেন, তারা হয়তো উপলব্ধি করেছেন যে এপ্রিল মে থেকে কাজের স্বাভাবিক চাপ শুরু হয় আর তা বাদে যেহেতু ব্যক্তিগত ভাবে আমার পুরস্কার-টুরস্কার পাওয়ার সেরকম অভ্যাস নেই, সেই দিক থেকে - তবে ঘটনা, একবছরে পরপর দুবার পুরস্কার প্রাপ্তি আর তার সাথে ইদানীন গপ্পো লেখারও ঝোঁক বেড়েছে খানিক, কাজেই সবে মিলে ... যাকগে! জ্ঞানীগুনী যারাই আছেন তাদের কাছে ব্যাখ্যা করার দরকার না হলেও, সাধারণ মানুষ হয়তো কৌতুহলী হবেন যে এই উত্তরাধিকার ওয়েব সাহিত্যের ব্যাপারটা কি! দেখুন, মানুষ একটি অদ্ভুত জন্তু – সেভাবে বলতে গেলে এদের রাম-টু-রম রেশিও অন্যান্য জন্তুর তুলনায় অনেক বেশি মানে একোয়ারড মেমরির থেকে প্রিন্টেড মেমরি অনেক কম| জীবন বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা খুবই কম, তাও আমার সেকেন্ডারি ব্রেন, মানে ইন্টারনেট থেকে যা জানা, মানব মস্তিষ্কের ডানদিক আমাদের সাথে বেজায় মজার মজার খেলা খেলে! কল্পনা, সৃজনশীলতা – এগুলি অন্য জন্তুদের ভিতর সেভাবে প্রকট কি? হয়ত

নতুন এডভেঞ্চার

“সারাজীবন কলম পিষে কাটাতে চাও নাকি – হ্যাহ? ভালো!” সমুকে তার ব্যাগ থেকে তার বইয়ের পাঁজা বের করতে দেখে পল্টন বললো| “কেন? তুমি কি করতে চাও?” আশ্চর্য্য হয়ে জিজ্ঞাস করলো সমু| “আমার ভাই ওসব পোষাবে না – আমি চাই এডভেঞ্চার! সারাজীবন অফিস-কাছারিতে মুখ গুঁজড়ে পড়ে থেকে চাকরি বাকরি করা – এহে, সে আমার ধাতে নেই| যারা জীবনে চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না, তাদের হয়তো … যাক গে!” হাত উল্টোল পল্টন| এরকম খাপছাড়া ছেলের সাথে একসাথে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে একটা বাড়িতে একসাথে থাকতে হবে, সেটা ভাবলেই সমু রীতিমতো তিতিবিরক্ত হচ্ছে| কিন্তু এছাড়া তো আর কোনো উপায়ও দেখা যাচ্ছে না – সমু’র মাসি-মেসো তার মাসতুতো দিদির বাড়ি নিমন্ত্রনে গিয়েছে, মাসতুতো দাদা সৌগতকে ব্যবসার কাজে অন্য শহরে না গেলেই নয় – বাড়ি ফাঁকা| সমু কলেজ শেষ করে আপাতত বেকার, চাকরি-বাকরির পরীক্ষা দিচ্ছে, সৌগত তাকে বলেছিলো যে অন্তত মাসি-মেসো ফেরা অব্দি সে যদি তাদের বাড়ি থাকতে পারে| গ্রাজুয়েশনের পর থেকে এযাবত কেবল বাড়ি-কোচিং সেন্টার, কোচিং সেন্টার-বাড়ি করে সমুও হাঁফিয়ে উঠেছিলো, কাজেই এমন একটা আউটিংএর সুযোগ পেয়ে সেও লাফিয়ে উঠলো| সেই মতো সমু এক সপ্তাহের মতো জামাক

কিছু কিছু দেখা

আমি বেশি কিছু দেখিনি, কিন্তু কিছু কিছু দেখেছি - খুব ভালো লাগে| সে অনেক দিন আগের কথা ... উহু রুপকথা নয়, আমি তখন তিন চার বছর - কোলাঘাটে থাকি| আমার বাবা বাইকের ডায়নামো ডিসএসেম্বেল করছিলো - ওয়ারিং মনে রাখতে একটা কাগজে এঁকেও রাখছিলো সাথে সাথে| আমিও বাবার দেখা দেখি আরেকটা কাগজে সেই রকম আঁকিবুঁকি করতে শুরু করলাম| বাবা আমার বাহাদুরি দেখে পরের মাসেই আঁকার স্কুলে ভর্তি করে দিলো| সেই স্কুলে কিরকম কি দেখেছি, বেশিরভাগই ভুলে গেছি| তবে আমায় প্রথমেই একটা ইঁদুর আঁকতে দিয়েছিলো সেটা মনে আছে - আর সেটা 'কেন করবো' মনে করে নকল করতে করতে দেখছিলাম পাশে আর একটা বড় ছেলে 'ঘরের মধ্যে পড়তে বসেছে, এরকম একটা ছেলের লাল জামার নিচে সাদা প্যান্টে' আচ্ছা করে সাদা প্যাস্টেলই ঘসছে| আমি বোকার মতো জিজ্ঞাস করলাম 'কাগজেই তো সাদা আছে!' সে আমার বোকামি শুধরে দিলো - 'উহু আরও সাদা করতে হবে|' কিন্তু সেই ছবিতে কমলা ছাদ, খয়েরি বাক্স আর বাইরের কচি-কলাপাতা-সবুজ মাঠের ওপারে গাড় সবুজ ঝোপঝাড় দেখে খুব সুন্দর লেগেছিলো - মনে আছে| তারপর কি হলো জানিনা - মনে নেই আমার - পাঁচ বছর বয়সে বসিরহাট এলাম| ভাড়াব